সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কর্তব্য

কর্তব্য । আলী হোসেন রাত হয়েছে অনেক। তবু চোখের পাতা দু’টো এক হচ্ছে না। বুকের ভেতরটাও কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। সুদূর, দূর কিংবা নিকট - কোনো অতীতেই এমনটা হয়েছে বলে মনে পড়ছে না পরানের। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি থেকে যেদিন ভি. আর. এস. নিতে এক রকম বাধ্য হয়েছিলেন, তখনও এমন হয় নি। বাবা, তোমার শরীর ঠিক আছে তো? আছে। সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয় পরান। উত্তরের ধরণে অভিমান না অনুযোগ, স্পষ্ট বুঝতে পারে না রণো। তবে কিছু যে একটা আছে, সেটা খুব স্পষ্ট। কিন্তু কেন! বুড়িমার মৃত্যুই কি...? কিন্তু এ মৃত্যুকে বিলম্বিত কিম্বা অতিক্রম, দু’ই তো দুঃসাধ্য। আর এবিষয়ে বাবাও যথেষ্ট সচেতন। তাহলে? পরানের বাবা গত হয়েছেন বহুবছর আগে। বাবার অভাব বুঝতে দেননি মা প্রতিমা। বুকের সাহস কিংবা মনের বল সবকিছুর উৎস ছিলেন তিনিই। পরান বড় হয়ে উপলব্ধি করেছে, মা হচ্ছেন নোঙরের খুটির মত। না হলে টোকা শ্যাওলার মত কবেই সে ভেসে যেত অথৈ সাগরে। বেশ ক’দিন হল শরীরটা ভালো যাচ্ছে না বুড়ির। নাতি রণো, বুড়ি বলেই ডাকে প্রতিমাকে। বয়স তো আর কম হল না। নয় নয় করেও নব্বই। অত বড় একটা মারণ-রোগ নিয়েও যে এত স্বাভাবিক থাকা যায়, প্রতিমাকে না দেখলে কারও বিশ্বাসই হবে

রচনাকাল অনুযায়ী গল্প : পড়ুন 👉 এখানে ক্লিক করে